অ্যাসিডিটির সমস্যায় মাঝে মাঝে পড়তে হয় না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। ভাজাপোড়া কিংবা মশলাদার খাবার খেলে কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয়ে যাবে অ্যাসিডিটির অত্যাচার। অ্যাসিডিটির ভয়ে অনেকে খাবার তালিকা থেকে বাদ রাখেন প্রিয় খাবারগুলো। পেটের গ্যাসট্রিক গ্রন্থির মাধ্যমে অত্যধিক পরিমাণে অ্যাসিড উৎপন্ন হলে শরীরে নানাভাবে তা সমস্যার সৃষ্টি করে। সাবধানতা অবলম্বন গ্যাসট্রিক আলসার পর্যন্ত হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদী গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই। কখনো কখনো বড় কোনো অসুখের উপসর্গ হলো অ্যাসিডিটি।
আরও পড়ুন: ঘামের দূর্গন্ধ দূর করার প্রকৃতিক উপায়
বুক, পেট, গলার মধ্যে জ্বালাদায়ী অস্বস্তি, ঢেঁকুর, বমি ভাব, ভরা পেট, জিহ্বা বিস্বাদ হয়ে থাকা ইত্যাদি অ্যাসিডিটির মূল লক্ষণ। অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সহজে।

পুদিনা পাতা
অ্যাসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে কয়েকটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খান। চাইলে ১ কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা ফুটিয়ে পানিটুকু পান করতে পারেন। দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি।
লেবু
প্রতিদিন সকালে একগ্লাস হালকা গরম পানিতে আস্ত একটি পাতিলেবু নিংড়ে দিন। এই পানীয় গরম গরম খান। লেবু শরীরের টক্সিন দূর করে শরীরকে অম্লমুক্ত রাখে। গরম পানিতে মেশানোর কারণে লেবুর অম্লতাও শরীরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
গুড়
অ্যাসিডিটি থেকে দূরে থাকতে খাওয়ার পর এক টুকরা গুড় খেতে পারেন। গুড়ে থাকা ম্যাগনেসিয়াম খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে ও মুক্তি দেয় অ্যাসিডিটি থেকে।
একটি পাত্রে আদা কুচি, মৌরি ও কাঁচা আমলকি মেশান। খাওয়াদাওয়ার পর অল্প পরিমাণ নিয়ে চিবিয়ে খান এই মিশ্রণ।

এলাচ
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলেই ২টি এলাচ ফুটিয়ে সেই পানি পান করতে পারেন। মুক্তি পাবেন সমস্যা থেকে।এলাচ প্রাকৃতিকভাবেই অম্ল বিরোধী।
আরও পড়ুন: মা হওয়ার পর পেটের মেদ কমান
অনেকেই খাওয়ার পরে জোয়ান বা মৌরি মুখে রাখতে পছন্দ করেন। কেউবা পান খান। জোয়ান বা মৌরি অম্লতা দূর করতে কার্যকর, কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে খেলে কিন্তু শরীরের ক্ষতি। তাই এই দুটিই অল্প পরিমাণ খান। তবে পান না খাওয়াই ভালো।
তথ্য সূত্র ঃ ইন্টারনেট
Leave a Reply