যাদের অয়েলি স্কিন,তারাই বোঝে তৈলাক্ত ত্বকের তেল যন্ত্রণা।যতই সুন্দর করে মেকআপ করা হোক,কিচ্ছুক্ষণ পর মুখ আবার সেই তেলতেলে, চিটচিটে।রাস্তায় বেরোলেই মুখে ময়লা জমে একাকার।তৈলাক্ত ত্বকের এই অতিরিক্ত তেল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে,আজ শেয়ার করছি কিছু স্পেশাল ফেসপ্যাক,যেগুলো অতিরিক্ত তেল কন্ট্রোল করার সাথে সাথে,স্কিনকে করে তুলবে গ্লোয়িং হেলদি।
অতিরিক্ত তেলকে কন্ট্রোল করতে
পাকা কলার ফেসপ্যাক খুব ভালো তৈলাক্ত চটচটে স্কিনের জন্য।এর সাথে লেবুর রস স্কিনের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন কম করে।
উপকরণ
একটা কলা ও ১চামচ মধু ও কয়েকফোঁটা লেবুর রস।
পদ্ধতি
কলা ভালো করে ব্লেণ্ড করে নিন।এবার এতে ১চামচ মধু মেশান ও কয়েকফোঁটা লেবুর রস দিন।এতে চাইলে কয়েকফোঁটা কমলালেবুর রসও দিতে পারেন।আরও ভালো হবে।ভালো করে সব উপকরণগুলো মিশিয়ে নিন।এবার এটা পুরো মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।তারপর হালকা গরম জলে মুখ পরিষ্কার করে নিন।সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন করুন।খুব ভালো ফল পাবেন।এই ফেসপ্যাকটা বেশী করে বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।এক সপ্তাহের জন্য ঠিক থাকতে পারে।
ব্রণ কমাবে মুলতানি মাটি
মুখের অতিরিক্ত তেল কন্ট্রোল করার জন্য,মুলতানি মাটির মত উপকারী উপাদান খুব কমই আছে।এটা শুধু অতিরিক্ত তেল কন্ট্রোল করে না,মুখের ময়লাকেও সুন্দর ভাবে বের করে আনে এবং ব্রণ কমাতেও সাহায্য করে।
উপকরণ
২চামচ মুলতানি মাটি,১চামচ গোলাপজল ও কয়েকফোঁটা লেবুর রস।
পদ্ধতি
প্রথমে মুলতানি মাটি ভিজিয়ে রাখুন কিচ্ছুক্ষণ।নরম হয়ে গেলে,এতে গোলাপজল ও লেবুর রস মেশান।ভালো করে সব উপকরণগুলো মিশিয়ে নিন।এবার এই পেস্ট মুখে লাগান।এটাও ১৫ মিনিট রাখুন।তারপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।এটা সপ্তাহে দুদিন করুন।দেখবেন মুখের তেল অনেকটা কন্ট্রোলে এসেছে।
উপকারী শসা
শসা খুব ভালো টোনারের কাজ করে।স্কিনের ভেতরের অতিরিক্ত তেল কন্ট্রোল করে ও স্কিনকে ভেতর থেকে ফ্রেশ রাখে।
উপকরণ
২চামচ শসার পেস্ট,১চামচ গোলাপজল ও কয়েকফোঁটা লেবুর রস।
পদ্ধতি
একটা গোটা শসার হাফ করে নিন।এবার ওই হাফ শসার পেস্ট করে নিন।ওই ২চামচ মত হলেই হবে।এবার এই ২চামচ শসার পেস্টের সাথে গোলাপজল ও লেবুর রস মেশান।এটা মুখে লাগান।১৫থেকে ২০ মিনিট রাখুন।তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন।এটা রোজও করতে পারেন।তাহলে খুব ভালো তেল কন্ট্রোল হবে।আর রোজ সময় না থাকলে সপ্তাহে তিনদিন করুন।তাতেও কাজ হবে।স্কিন থাকবে ফ্রেশ ও অয়েল ফ্রী।
ফর্সা ও অয়েল ফ্রী স্কিন পেতে বেসন প্যাক
বেসন দিয়ে অনেকেই মুখ পরিষ্কার করেন।আর যারা পরিষ্কার করেন, তারাই জানেন পরিষ্কার করার পর মুখ কেমন পরিষ্কার হয়।ফর্সা ও অয়েল ফ্রী লাগে।
উপকরণ
২চামচ বেসন ও ৪চামচ দুধ।
পদ্ধতি
বেসনের সাথে দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিন।এতে জল দেবেন না।দুধ দিয়েই বেসন গুলুন।এবার এই পেস্ট মুখে ও গলায় লাগান।শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।মোটামুটি ১৫ মিনিটের মধ্যে শুকিয়ে যাবে।তারপর ঠাণ্ডা জলে পরিষ্কার করে নিন।সপ্তাহে দুদিন করুন।তারপর দেখবেন স্কিনের তফাৎটা।মুখ ধোয়ার পরই কেমন ফর্সা ও অয়েল ফ্রী লাগবে।
মাখনের ফেস মাস্ক শুষ্ক ত্বকের জন্য
কমলালেবুর প্যাক
শীতে কমলালেবু নিশ্চয়ই বাড়িতে এসেছে,তাহলে কমলালেবু খেয়ে রেখে দিন খোসাগুলো।এগুলোকে কাজে লাগান মুখের অতিরিক্ত তেল কন্ট্রোল করতে।এটা জাস্ট এক্সিলেন্ট কাজ করবে।
উপকরণ
২চামচ কমলালেবু খোসার গুঁড়ো, ৪চামচ দুধ ও ১চামচ হলুদ।
পদ্ধতি
একটা ছোট কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো করে নিন।এবার কাঁচা হলুদ জোগাড় করুন।কাঁচা হলুদ ব্লেণ্ড করে নিন।এবার কমলালেবুর খোসার সাথে কাঁচা হলুদের পেস্ট মেশান।এতে দিন ৪চামচ দুধ।সব উপকরণগুলো ভালো করে মেশান।এবার এই পেস্ট মুখে লাগান।২০ মিনিট মত রেখে ধুয়ে ফেলুন।এটা শুধু অতিরিক্ত তেলই কন্ট্রোল করবে না,স্কিনকে করে তুলবে গ্লোয়িং। সপ্তাহে এক বা দুদিন করে দেখুন।
তাহলে দেখলেন তো,অয়েলি ত্বকের থেকে মুক্তি পাওয়া কত্ত সহজ।আর দেরি না করে আপনিও ট্রাই করে ফেলুন।তেলতেলে ত্বক থেকে মুক্তি পেলেন বলে।
Leave a Reply