সুস্থ যৌন সম্পর্ক আপনাকে শুধু চিরতরুণই রাখে না, আরও অনেকভাবে আপনার শরীর ও মনে নানাভাবে প্রভাব ফেলে: শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, পিঠের ব্যথা, মাইগ্রেন, আর্থ্রারাইটিসের যন্ত্রণা দূর করে, উদ্বেগ দূর হয় এবং দীর্ঘায়ু করে। আর শরীরে বেশি অক্সিজেন যাওয়ার কারণে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল করে। যৌবনকে আরও উপভোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে আরো কী কী করা যায় আসুন জেনে নিই।
১. স্কিন ইজ দ্যা মিরর অফ মাইন্ড। মন সুস্থ থাকলে ত্বক ভাল থাকবে। তাই মন ভাল রাখুন এবং নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন। ‘আজ ক্লান্ত’, ‘কাল সময় নেই’ এসব অজুহাত একেবারে অচল। অব্যশই ব্যায়াম করবেন। যাদের পক্ষে করা সম্ভব নয় তারা হাঁটবেন। নিয়মিত সানস্ক্রিন, বডি লোশন, ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করবেন। অনেক cosmecutical বেরিয়েছে। এটা ত্বকের চাকচিক্য বজায় রাখে।
২. বয়স অনুযায়ী ক্রিম, লোশন যাই ব্যবহার করুন না কেন ব্যালান্সড ডায়েটেই লুকিয়ে আছে সুন্দর ত্বকের চাবিকাঠি। আপনাকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সবই খেতে হবে। ত্বকের জন্য ফ্যাট অবশ্যই দরকার। আমাদের শরীরের সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে একটা পদার্থ বের হয়, তার নাম সিবাম। এটা ত্বকের তৈলাক্তভাবে বজায় রাখে ফলে মুখ চকচক করে।
৩. পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস করুন। ভিটামিন-সি আছে এমন খাবার খান। লেবু, টোম্যাটো, শাকসবজিতে প্রচুর ভিটামিন-সি আছে। ভিটামিন-সি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। আপেল, গাজর, কুমড়ো এবং পার্সলেতে পাবেন ভিটামিন-এ। খুব তৈলাক্ত ত্বক এবং ছাল ওঠা ঠোঁটের জন্য ভিটামিন-বি জরুরী। আর সবরকম ভিটামিন পেতে বিন স্প্রাউট, লাল এবং সবুজ ক্যাপসিকাম সালাদ হিসেবে খান। সিরিয়াল, গ্রেনস, বাদাম এবং ডাল জাতীয় খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
৪. বেশি করে পানি পান করুন এবং মৌসুমি ফল, শাকসবজি ইত্যাদি খাবেন। পাকা আম, পাকা পেয়ারা, গাজর খাবেন। যার পক্ষে সম্ভব পেস্তা, বাদাম খাবেন। কিছু কিছু ভিটামিন (যাতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে) খাবেন ত্বক ঠিক রাখার জন্য (বিশেষ করে যাঁরা ফল খাওয়ার সময় পান না)।
Leave a Reply