যার মাথায় একবার উকুন হয়েছে সেই জানে এর কি কষ্ট। তাই সবাই এ জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে চায়। তবু চাইলেই কি এই জ্বালা থেকে মুক্তি পাবেন? যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে এই সমস্যায়। পরিবারের এক জনের মাথায় যদি উকুন বাসা বাধে তাহলে পরিবারের বাকি সদস্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে খুব দ্রুত। আর এমনটা হলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে পারে মাথা চুলকাতে চুলকাতে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে উকুন সমস্যার সমাধান করবেন সেই উপায় গুলো।
টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েরে এক ধরণের প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা উকুনকে মেরে ফেলে এমনকি উকুনের ডিমকেও ধ্বংস করে দেয়। যারফলে পরবর্তীতে আবার উকুনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
ব্যবহারের নিয়ম: পরিমাণ মতো টি-ট্রি অয়েল মাথার স্কাল্পে(তালুতে) লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। তারপর একটা টাওয়াল বালিশের উপর রেখে শুয়ে পড়ুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল আঁচড়ে নিলেই বুঝতে পারবেন কি ঘটেছে রাতে।
নিম তেল: নিম তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা প্রপাটিজ খুব দ্রুতই উকুনকে মেরে ফেলতে পারে এবং ডিমকেও ধ্বংস করে দেয়। এছাড়া চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও নিম তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিম তেল ত্বকের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে দারুণ কাজ করে।
ব্যবহারের নিয়ম: শ্যাম্পুর সাথে কয়েকফোটা নিম তেলে মিশিয়ে মাথা এবং চুল কয়েকবার ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর চুল আঁচড়ে ফেলতে হবে। কয়েকদিন ব্যবহারে উকুনের হাত থেকে রেহায় পাবেন।
অলিভ অয়েল: অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল নিয়ে চুলে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন, খুব দ্রুতই মাথার উকুন দূর হবে। অলিভ অয়েলে বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যা খুব দ্রুত উকুনদের মেরে ফেলতে সাহায্য করে। ফলে সমস্যা কমতে সময় লাগে না।
নারকেল তেল: নারকেল তেল চুলকে পিচ্ছিল করে তোলে। এর ফলে মাথা থেকে উকুন এবং উকুনের ডিম ঝরে পড়ে। প্রতিদিন গোসলের দুই ঘন্টা আগে নারকেল তেল হালকা গরম করে চুলে লাগান। গোসলের সময় ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এমনটা কয়েকদিন করলে উকুন দূর হবে।
মাউথ ওয়াশ: হ্যা আমি মাউথ ওয়াশের কথাই বলছি। সত্যি বলছি উকুনের প্রকোপ কমাতে মাউথ ওয়াশ দারুন কাজে করে। বিশ্বাস না হলে একবার ট্রাই করে দেখুন। মাউথওয়াশে রয়েছে ইউক্যালিপটাস অয়েল এবং থায়ামল যা অল্প সময়ে উকুনদের মেরে ফেলে।
ব্যবহার পদ্ধতি: অল্প পরিমাণে মাউথ ওয়াশ মাথার তালুতে লাগিয়ে একটা টাওয়াল দিয়ে চুলটা বেঁধে ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। দুই ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চমৎকার নিজের চোখেই দেখুন।
উপরে যে ঘরোয়া উপায়গুলি আলোচনা করা হলো তা আপনি ব্যবহার করলে উকুনের হাত থেকে তো নিজেকে রক্ষা করতে পারবেনই তারসাথে আপনার চুল এবং স্ক্যাল্পের উন্নতিও ঘটতে শুরু করবে। তাই তো বলি যদি অপূর্ব সুন্দর চুলের অধিকারী যদি হতে চান, তাহলে এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলিকে কাজে লাগিয়ে নিয়মিত চুলের পরিচর্যা করতে ভুলবেন না যেন!
Leave a Reply