তেতো খাবার খেতে ভালো লাগে এমন মানুষ খুজে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু তারপরও আমরা মাঝে মাঝে তেতো খাবার খেয়ে থাকি। নিজে খেতে না চাইলেও মা-বাবা জোর করে খাওয়ায়। এই যেমন করলা, উচ্ছে। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত এজাতীয় তেতো আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা এই তেতো খাবারে কত উপকার রয়েছে।
তেতো খাবার কাজ করে প্রাকৃতিক প্যালেট ক্লেনজ়ার হিসেবে যা মুখের স্বাদ বদলাতে সাহায্য করে।তেতো সবজি হজম ক্ষমতাও বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায়। গরমকালে বিপাকের হার ক্রমশ কমতে থাকে তাই এইসময় তেতো খাওয়া অনেকটা বধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। আর প্রাকৃতিক ভাবেই গরমকালে প্রচুর পরিমানে তেতো সবজি পাওয়া যায়। আর তাই মাঝে মাঝে তেতো খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো।
নিমপাতা: আমরা সবাই মোটামুটি নিমের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ সম্পর্কে জানি। নিমকে আয়ুর্বেদ ওষুধ হিসেবে ধরা হয়। নিউরোমাসকিউলার সমস্যা ও বাত রোগ সারাতে নিয়মিত নিমের রস সেবন করুন। ত্বক ও চুলের সমস্যা দূর করে। নিয়মিত নিমপাতার রস খেলে ক্ষুদ্রান্ত্রের ব্যাকটেরিয়াও নিয়ন্ত্রণে থাকে ও বাড়ে লিভারের কর্মক্ষমতা৷
উচ্ছে/ করলা: এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন করে ও পেটফাঁপা কমায়।
সজনে ফুল: সজনে ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম আর পটাশিয়াম৷ যে সব মায়েরা বাচ্চাদের বুকের দুধপান করান তাদের এটি একটি আদর্শ খাবার৷ আয়ুর্বেদ মতে সর্দি-জ্বর কমাতে ও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন সারাতে এর ব্যবহার আছে৷
মেথি: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হজমশক্তি বাড়াতে মেথি খুবই উপকারী। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকলে মেথি খান। বুকে-গলায় জ্বালাভাব কমাবে।
Leave a Reply