কালের বিবর্তনে গত কয়েক দশকে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়েছে দ্বিগুণ হারে । দূষণ বৃদ্ধি এবং দূষণ পরিবর্তনের বিভিন্ন রোগের প্রকোপও বেড়েছে । পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিগত বছর গুলোতে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের কারনে নানা রোগ ও মৃত্যুর হার বেড়েছে দিগুন হারে । যেখানে ২০১৫ সালে এই দূষণের ফলে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩২৮৩ জনের মতো এবং চিনে এই সংখ্যাটা ৩২৩৩ জন যা চিনের চেয়েও বেশি । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের পূর্বে পরিবেশ দূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১২৬৫ জন যা প্রায় এখন দু গুণ হারে বেড়ে গেছে । আপনি কি মনে করেন ? পরিবেশ দূষণের ফলে শুধু শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়, তা কিন্তু নয় ! এর ফলে শরীরের এবং ত্বকেরও নানা প্রকার ক্ষতির প্রভাব পরে । অতিরিক্ত দূষণের ফলে আপনার ত্বকের বয়স বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেই সাথে স্কিন অ্যালার্জির প্রভাবসহ স্কিন ক্যান্সারও হতে পারে । তাই পরিবেশ দূষণের হাত থেকে নিজেকে এবং নিজের ত্বককে রক্ষা করতে হলে এমন কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে যেন আপনি সহজেই পরিত্রান পান । আর তা নিয়েই এখন আলোচনা করা হবে আমাদের এই রুপমা.কমে । চলুন জেনে নেই সেই গুপ্ত সমাধানটি ।
ভাল করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে: আপনি সারাদিন বাইরে থাকার ফলে আপনার ত্বকে পরিবেশ দূষণের কারনে যে পরিমান ময়লার স্তর ত্বকের উপরি অংশে জমতে থাকে, তা যদি আপনাকে স্কিন স্ক্যানিং ম্যাশিন দিয়ে দেখানো যেত তাহলে আপনি ভয়ে প্রতি ১ ঘণ্টা অন্তর অন্তর মুখ ধুতে থাকতেন পানি দিয়ে । কিন্তু ভয়ের কিছুই নেই, প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই পানি দিয়ে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে নিবেন । আর যদি সারাদিনি বাইরে বাইরে থাকেন তাহলে কিছুক্ষণ পর পরই মুখ ধোওয়ার চেষ্টা করবেন । এখন প্রশ্ন হল আপনি বুঝবেন কীভাবে যে মুখ ভাল করে পরিষ্কার হয়েছে । তা খুবই সহজ, যদি দেখেন আপনার ত্বক অমসৃণ অথবা রুক্ষ হয়ে গেছে, তাহলে ধরে নেবেন ত্বকে এখনো ময়লা জমে আছে । সেক্ষেত্রে কষ্ট করে আরেকটি বার ভালো ফেস ওয়াশ বা ক্লিনার দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন ।
স্কার্ব ব্যবহার জরুরি: প্রতিদিন অফিস থেকে বাসায় এসে নিশ্চয়ই গোসল করেন । ঠিক সে সময় ভাল করে স্কার্বার লাগিয়ে মুখ এবং গা পরিষ্কার করে নিন । এর ফলে শরীরে থাকা অতিরিক্ত তেল, দূষিত কেমিকেল, এবং টক্সিক উপাদান সব ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে যাবে ।
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে: আপনি কি জানেন অ্যান্টি – অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে পরিবেশে থাকা যে ফ্রি রেডিক্যালস বা ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা আপনার শরীর এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর সেগুলো থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন এবং একাধিক রোগের প্রকোপ থেকেও শরীরকে রক্ষা করতে পারেন । তাই দূষিত বায়ুয়ের মধ্যে থেকেও নিজেকে সুস্থ এবং সুন্দর ভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রতিদিন সবুজ শাক-সবজি এবং ফলমূল বেশি করে খান । পরিবেশ দূষণের হাত থেকে নিজের স্কিনকে বাঁচাতে চাইলে যে সকল প্রডাক্টে ভিটামিন সি এবং ই আছে তা অবশ্যই ব্যবহার করুন ।
ময়েসচারাইজারের ব্যবহার জরুরি: পরিবেশে নানা ধরনের ক্ষতিকর উপাদানগুলো প্রতিনিয়তই ঘোরাফেরা করে মানুষের ত্বকে বা শরীরে প্রবেশ করার জন্য । তাই এর হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে চাইলে ময়েসচারাইজার সমৃদ্ধ ক্রিম বা লোশনের কোন বিকল্প নেই । যা ত্বকে ব্যবহার করলে কোন ক্ষতিকর উপাদান সেই ঢাল ভেদ করে আপনার ত্বকের ভিতরে পৌছাতে পারে না । সেই সাথে ত্বককে তুলতুলে এবং আদ্র দুই অবস্থাতেই রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না: বাড়ি থেকে বেরনোর পূর্বে বা রান্না করার পূর্বে সান স্ক্রিন লাগাতে কখন ভুল করবেন না । কারণ সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব বা রান্না ঘরের আগুনের তাপ আপনার ত্বককে পুড়িয়ে ফেলতে পারে । সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে বাঁচাতে এই বিউটি প্রডাক্টটি আসলেই দারুন কাজে দেয় ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি: দিনে অবশ্যই একজন সুস্থ মানুষের ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত । এতে যেমন শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা যায় তেমনি ত্বকে আদ্রতা বজায় রেখে পরিবেশ দূষণের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায় ।
Leave a Reply