আধুনিক তরুণ-তরুণীদের কাছে হেয়ার হাইলাইট বেশ জনপ্রিয়। মাথার মাঝের কিছু চুল গোছা করে পছন্দের কোনো রঙে রাঙিয়ে নেওয়াকে হেয়ার হাইলাইট বলে। সাধারণত এই কাজটি পার্লারেই করা হয়। তবে পার্লারে চুল হাইলাইট করার জন্য নানা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করা হয়। এতে চুলের অনেক বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা থাকে। তাই ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও চুলের ক্ষতির ভয়ে অনেকেই হেয়ার হাইলাইট করতে চায় না। কিন্তু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়েই হেয়ার হাইলাইট করা যায়। জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায়-
মধু এবং ভিনেগার
২ কাপ ভিনেগার, ১ কাপ বিশুদ্ধ মধু, ১ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ দারুচিনি অথবা এলাচ গুঁড়ো। সবগুলো উপাদান ভাল করে মিশিয়ে নাও। এবার একটি ব্রাশ অথবা চিরুনি দিয়ে যে চুলগুলো হাইলাইট করতে চাও, সেখানে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নাও। একটি প্ল্যাস্টিকের ব্যাগ অথবা তোয়ালে দিয়ে চুলগুলো পেঁচিয়ে রাখো। এটি সারা রাত চুলে রাখতে হবে। হাইলাইট করার জন্য সাধারণত রোদে বসে থাকতে হয়, কিন্তু এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে রোদে বসার প্রয়োজন নেই। মধু হাইড্রোজেন পারক্সাইডের মতো চুলের রং পরিবর্তন করে থাকে।
চুল পড়ছে? আটকান আদার তেল ব্যবহার করে
লেবু
সবচেয়ে সস্তা এবং সহজলভ্য হেয়ার লাইটার হল লেবু। একটি পাত্রে সম পরিমাণে লেবুর রস এবং পানি মিশিয়ে নাও। এবার চুলের গোছা আলাদা করে নিয়ে মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে নাও। তারপর প্ল্যাস্টিকের প্যাকেট অথবা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে চুল ঢেকে রোদে বসে থাকতে হবে। চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নাও। এভাবে ২-৩ বার করো। দেখবে, চুলে একটি সুন্দর রং চলে এসেছে।
চা
ক্যামোমাইল টি ব্যাগ চুল হাইলাইট করতে বেশ কার্যকর। ক্যামোমাইল টি ব্যাগ ছাড়া রং চা ব্যবহার করতে পারো। ১০ মিনিট টি ব্যাগ দিয়ে পানি ফুটিয়ে নাও। টি ব্যাগ থেকে রং ছড়ালে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলো এবং অন্তত ১৫ মিনিট রাখো। এভাবে ২ থেকে ৩ বার করতে হবে। তারপর চুল শ্যাম্পু করে ফেলো।
দারুচিনি
কন্ডিশনার এবং দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নাও। এবার এই মিশ্রণটি উপর থেকে নিচে লাগিয়ে নাও। একটি চিরুণী দিয়ে চুল ভাল করে আঁচড়িয়ে নাও। তারপর চুলগুলো খোঁপা করে নাও। শাওয়ার ক্যাপ অথবা প্লাস্টিকে ব্যাগ দিয়ে চুল পেঁচিয়ে সারা রাত রাখো। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলো। আর দেখো, চুল কি সুন্দর রং হয়ে গেছে!
Leave a Reply