ত্বক নরম ও কোমল রাখতে আমরা সবাই লোশন ব্যবহার করে থাকি। তবে কারো কারো ত্বক খুব তৈলাক্ত হয়, শীতেও তাদের লোশনের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আমাদের, যাদের শীতে লোশনের প্রয়োজন হয় তারা কখনও কখনও ভুলবশত বা সময় স্বল্পটার কারণে অথবা অজ্ঞতাবশত গায়ে দেওয়া লোশন মুখে মেখে নেয়।
অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে, গায়ে দেওয়া লোশন মুখে মাখা ঠিক কি না… আবার কারও মনে এমন প্রশ্ন আসেই না। আপনার মনে এমন প্রশ্ন আসুক বা না আসুক; আপনার জেনে রাখা দরকার যে গায়ে দেওয়া লোশন মুখে মাখা যায় কিনা। তাহলে আসুন জেনে নেই, ডার্মেটোলজিস্ট বা ত্বক-বিশেষজ্ঞরা কি বলছে।উনাদের মতে গায়ে দেওয়া লোশন মুখে দিলে মুখের ত্বকের অপকার বৈ উপকার হয় না।
আমাদের শরীরের ত্বকের তুলনায় মুখের ত্বক বেশি কোমল। তাই বডি লোশনগুলো মুখে মাখা ক্রিমের তুলনায় ভারী হয়। তাই লোশন মুখে মাখার ফলে আমাদের মুখে ব্রণ ও র্যাশসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। শুধু বডি লোশনই নয়, আরও অনেক এমন উপাদান আছে যা আমরা মুখের ত্বকের যত্নের জন্য জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু তা আমদের ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। আসুন তাহলে জেনে নেই, সেগুলো কি?
সুন্দর হাত-পায়ের জন্য ঘরোয়া পরিচর্যা
১। স্ক্রাবার হিসেবে আমরা অনেকেই বেকিং সোডা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এদের আমদের ত্বকের কোন উপকার হয় না। কিন্তু অনেক বেশি ক্ষতি হয়। কারণ বেকিং সোডা ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স নষ্ট করে।
২। চুলের যত্নে অনেকেই মেয়োনেজ ব্যবহার করে থাকে।কারণ মেয়োনেজ চুলের জন্য বেশ কার্যকর একটা উপাদান। কিন্তু মেয়োনেজ মুখের ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এতে থাকা এসিড মুখের ত্বকের নমনীয়তা নষ্ট করে। ত্বককে বানায় প্রাণহীন
৩। শ্যাম্পু করার সময় খেয়াল করবেন, যেন শ্যাম্পুর ফেলা মুখের ত্বকে না লাগে। কারণ শ্যাম্পুর ফেনা মুখের ত্বককে আরও রুক্ষ ও শুষ্ক করে দেয়। ফলে মুখে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
৪। আপনার যদি ঘন ঘন চুলের রঙ পরিবর্তন করার শখ থাকে তাহলে চুলে রঙ করার সময় অবশ্যই সচেতন থাকবেন, যেন রঙ মুখের ত্বকে না লাগে। কারণ চুলের রঙে থাকা রাসায়নিক পদার্থ মুখের ত্বকের জন্য বিপদজ্জনক।
Leave a Reply