বাসেলা এলবা, নাম শুনে ভয়ের কিছু নেই! হা হা হা, এটা আমাদের দেশের সব চেয়ে প্রিয় একটা শাকের নাম! পুইশাঁক নামেই যার পরিচিতি সারা বাংলাদেশে। পুঁইশাক খান নাই এমন বাংলাদেশী খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। পুঁইশাকের জনপ্রিয়িতা শুধু এখন সাউথ এশিয়াতে নয়, সারা বিশ্বেই মোটামুটি খাবারের স্থান করে ফেলেছে বা করছে! কারন পুঁইশাক এমন একটা গাছ যা অনেক ধরনের মাটিতেই জন্মাতে পারে এবং নানান প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও বেঁচে থাকতে পারে। খেতেও স্বাদ এবং পুষ্টিমান ভাল। যাই হোক, আপনারা নিজেরাও এই পুঁইশাকের নানান গুনের কথা জানতে পারেন, নেটের দুনিয়া আমাদের নিমিশেই কত তথ্য জানান দিতে পারে।
যাই হোক, আমাদের আজকের এই রান্না ভিয়েতনামের এমন ধরনের একটা রান্না (অনেক কিছুই মিল রেখে, শুধু আমাদের সামান্য মশলা মিলিয়ে) অনুসরন করেই রান্না করা হয়েছে, আমরা এই রান্নাটা টিভি চ্যানেলে দেখেছি এবং ভাল লাগতেই সেটা নোটে উঠিয়ে রেখেছিলাম। … চলুন দেখে ফেলি! তবে আগেই রেসিপি লাভার্সদের বলে ফেলি, এটা এত সহজ রান্না যে, আপনি চাইলেই রান্না করে ফেলতে পারবেন এবং ঘরেই সাধারণত এই সব মশলা/ভেজষ পেয়ে যাবেন। শুধু বাজার থেকে পুঁইশাক কিনে ফিরলেই হল!
তবে রান্নাটা দুই স্টেপের রান্না। ১। গরুর গোসত প্রিপারেশন ২। মুল রান্না। গরুর গোসত প্রিপারেশন এক ছবিতেই দেখিয়ে দিলাম কারন এটা খুবই সহজ এবং আশা করি দেখেই বুঝে যাবেন।
হাড়্গোড় ছাড়া ৩০০ গ্রাম গোসত নিন (আমরা অবশ্য দুইটা ছোট হাড় নিয়ে ছিলাম! আপনিও নিন, ব্যাপার না), গোসতের পিস গুলো ছোট হতে হবে, প্রয়োজনে সামান্য চেছেও নিতে পারেন (ইচ্ছা)। হাফ চা চামচ লবন, এক চা চামচ ভিনেগার, দুই চিমটি হলুদ গুড়া এবং কয়েক চামচ তেল দিয়ে মিশিয়ে একটা পাত্রে (ফ্রাই প্যানে) কম আঁচে ঢাকনা চুলায় বসিয়ে দিন। মিনিট ২০ পরে আপনার গোসত প্রিপারেশন হয়ে ছবির মত দেখাবে। তবে মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুল্বেন না, আগুন বেশী হলে পুড়ে যেতে পারে সুতারাং খেয়াল রাখা বাঞ্চনীয়! তবে গোসত শক্ত থাকলে আরো পানি দিতে পারেন এবং নরম হয়ে গেলেই গোসত তুলে রাখবেন। এই পাত্রেই মুল রান্না শুধু করা যেতে পারে।
উপকরণঃ
- ৩০০ গ্রাম গরুর গোসত (পরিমানটা আপনি নিজেই করে নিতে পারেন, তবে এতেই মাঝারি একবাটি হয়ে যাবে যা জন চারেক মানুষের জন্য হয়ে যাবে, তাছাড়া এক তরকারিতেই তো আর সারা ভাআত খেয়ে উঠবেন না!)
- পুঁইশাক (শুধু পাতা, ২০০ গ্রাম অনুমান)
- পেঁয়াজ কুঁচি (হাফ কাপ কম বেশী)
- আদা কুঁচি (এক চা চামচ)– রসুন কুঁচি (এক চা চামচ)
- মরিচ গুড়া, হাফ চা চামচের কম (ঝাল বুঝে)
- হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
- কয়েকটা কাঁচা মরিচ (ঝাল বুঝে)
- সয়া সস, এক টেবিল চামচ
- চিনি (হাফ চা চামচ)
- লবন (পরিমান মত)
- তেল
- পানি
(গোসত প্রিপারেশোনের আইটেম গুলো সামান্য বলে উপরে যোগ দেয়া হয় নাই)
কিভাবে রান্না করবেন সেই প্রণালী গ্যালারীতে ছবি হিসাবে দেওয়া হলো।
Leave a Reply