ব্রণের সমস্যার সাথে সাথে মাঝেমধ্যেই উদয় হয় ব্ল্যাকহেডস। যদিও বাজারে ব্ল্যাকহেডস কমানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার ক্রিম পাওয়া যায়, কিন্তু এইসব ক্রিমই বিভিন্ন রাসায়নিক কেমিকেল দিয়ে তৈরি হয়। যারফলে এটি অনেক সময় বড় ক্ষতির কারনও হয়। তাই বিকল্প হিসেবে আপনার হাতের কাছেই রয়েছে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপায়। যা আপনার ত্বকের সমস্যা দূরও করবে আবার কোন প্রকার ক্ষতিও হবে না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে প্রকৃতিক উপায়ে ব্লাকহেডস দূর করবেন।
গ্রিন টি
তেলতেলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা যেমন বেশি থাকে তেমনই ব্লাকহেডসও। আর তাই সবসময় হাতের কাছে রাখুন গ্রিন টি-র ব্যাগ। গ্রিন টি তে থাকা ভিটামিন আর অ্যান্টি অক্সিডান্ট ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমতে বাধা দেয়।
ব্যবহারের নিয়ম
এক কাপ পানির সাথে দুটো গ্রিণ টি ব্যাগ দিয়ে এক ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন। ভালোভাবে পানি ফুটে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পানি ব্ল্যাকহেডসের উপর চেপে চেপে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের সাদা
ডিমের সাদা অংশ ব্লাকহেডস দূর করতে খুবই পুরাতন এবং কার্যকারী একটি উপাদান। ত্বককে মসৃণ করতে ডিমের সাদা অংশের তুলনা নেই। ত্বকের রোমছিদ্রে জমে থাকা ধুলোময়লা হঠিয়ে রোমছিদ্র সংকুচিত করে ত্বককে টানটান মসৃণ রাখে।
ব্যবহারের নিয়ম
একটি বাটিতে দুটি ডিম নিয়ে তা থেকে কুসুম আলাদা করে ফেলুন। তারপর দুটো ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ব্ল্যাকহেডসের উপর পাতলা করে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এটি মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরিবর্তনটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
বেকিং সোডা
ব্লাকহেডস সম্পূর্ণ দূর করতে বেকিং সোডা দারুন কাজ করে। ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স রাখতেও খুবই কার্যকর বেকিং সোডা।
ব্যবহারের নিয়ম
এক চাচামচ বেকিং সোডা পানিতে গুলে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট এবার ব্ল্যাকহেডসের উপর লাগিয়ে দুই তিন মিনিট রেখে দিন। এবার হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর বরফঠান্ডা জলের ঝাপটায় মুখ ধুয়ে নিন।
উপরের যেকোন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেই আপনি দূর করতে পারেন ত্বকের ব্লাকহেডসের সমস্যা।
আমাদের লেখাটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
Leave a Reply