খুব দ্রুত ওজন কমাতে চান? তাহলে আর দেরি না করে প্রতিদিন ১ চামচ করে জিরা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন কয়েক মাসের মধ্যেই পরিবর্তন দেখে নিজেই চমকে যেতে পারেন। জিরায় আছে থাইমল নামক একটি যৌগ যা শরীরে প্রবেশ করার পর হজম ক্ষমতার এত মাত্রায় উন্নতি ঘটায় যে শরীরের ইতি-উতি মেদ জমার সম্ভাবনা যায় কমে। তবে দ্রুত এমন ফল পেতে চাইলে প্রতিদিন সর্মনিন্ম ৩ বার জিরা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে হবে অথবা ৩ চামচ জিরা পাউডার খেতে হবে, তাহলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করছে।
১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
জিরায় রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড় মজবুত বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত জিরা খেলে শরীরের হাড়ের স্বাস্থ্যের দ্রুত উন্নতি ঘটে। যার ফলে যে কোন ধরনের হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
২. ডায়াবেটিসের থেকে বাচতে:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত জিরা খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবং সেই সাথে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধার আশঙ্কা যায় কমে।
৩. আয়রনের ঘাটতি দূর করতে:
জিরাতে রয়েছে আয়রন যা, শরীরে হিমোগ্লোবিন লেভেলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরের সচলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অ্যানিমিয়ার মতো রোগের প্রকোপ থেকেও রক্ষা করে।
৪. ত্বক সুন্দর করতে:
মধুর আর জিরা মিশিয়ে একটা ফেস প্যাক বানিয়ে নিয়মিত মুখে লাগাতে থাকুন। এভাবে অল্প কিছুদিন ব্যভহার করলেই ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে ত্বক আরও বেশি করে সুন্দর হয়ে উঠবে।
ফেসপ্যাকটি বানানোর নিয়মঃ
এক চামচ মধুর সাথে হাফ চামচ জিরা পাউডার এবং হাফ চামচ হলুদ গুড়ো মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন। কয়েকদিন পরেই দেখবেন ফল মিলতে শুরু করেছে।
জিরা শুধু মশলায় নয় এটা যে এক মহঔষধ সেটা বুঝতে পারছেন নিশ্চয়। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই প্রতিদিন জিরা খাওয়া শুরু করুন।
আমাদের লেখাটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাতে ভুলবেন না।
Leave a Reply