মেকআপের জিনিসপত্র কিনতে প্রতিনিয়তই মেকআপের দোকান গুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন নারীরা। কিন্তু মেকআপ কেনার সময় আপনি যতটুকু সচেতন থাকেন, ততটুকু কি মেকআপের সাথে থাকা বাকি জিনিসগুলোর ব্যাপারেও সচেতন? আপনার মেকআপের লিপস্টিক বা ফাউন্ডেশনের শেড যতটা সময় দিয়ে আপনি বাছেন, ততটা সময় দিয়ে কি মেকআপের ব্রাশ বাছেন? নাকি যে ব্রাশটা দিয়ে ত্বকে ফাউন্ডেশন লাগাচ্ছেন, সেটাই একটু ঝেড়ে মুছে নিয়ে তারপর পাউডারটাও লাগিয়ে নিচ্ছেন। আপনার কি লিপস্টিকের ব্রাশ আর লিপলাইনারের ব্রাশ কী একই? তা হলে কিন্তু অনেক সমস্যা আছে। আপনি তো জানেন কমপ্যাক্ট বা ফাউন্ডেশন অথবা কনসিলারের কাজ আলাদা আলাদা হয়, ঠিক তেমনি এগুলো লাগানোর সব ব্রাশও কিন্তু আলাদা। অনেকে কিন্তু আবার আঙুল দিয়েই শর্টকার্টে কাজ চালিয়ে নেন। আর যাঁরা নতুন ভাবে মেকআপ শুরু করেছেন, তাঁদের কাছে আঙুল দিয়েই খুবই সহজ মনে হলেও সেটা কিন্তু আপনার মুখের জন্য বেশি একটা স্বাস্থ্যকর নয়। আর ব্রাশ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে বলেই একগাদা বিভিন্ন রকমের ব্রাশ কিনে ফেলবেন, তাও কিন্তু নয়। তাই যে কয়েকটি মেকআপ ব্রাশ আপনার খুবই প্রয়োজন বা না হলেই নয়, সেগুলই বলা হল এখানে।
ফাউন্ডেশন ব্লেন্ডিং ব্রাশ
এই ব্রাশটা দেখতে গোলাকার আর একটু মোটা হয়। মুখে ফাউন্ডেশনটা একটু ফোঁটা ফোঁটা করে হালকা ভাবে লাগানোর পর এই ব্রাশ দিয়েই আস্তে আস্তে গোলাকারভাবে মিশিয়ে নিন। এভাবে করতে পারলে ফাউন্ডেশন খুব সুন্দর করে মসৃণভাবে ত্বকে মিশে যাবে এবং ছোপ ছোপ ভাবে আর লেগেও থাকবে না।
আরো পড়ুন : রান্নাঘরেই খুঁজে নিন সেরা ময়েশ্চরাইজার
কনসিলার ব্রাশ
অনেকেই আছে যাঁরা ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ ঢেকে রাখতে কনসিলারের সাহায্য নেন, তাই তাঁদের একটি কনসিলার ব্রাশ থাকা অত্যান্ত জরুরি। এই ব্রাশটা দেখতে মুখের অংশটা চাপা এবং একটু সরু ধরনের হয়। আর ব্রিসলগুলো হয় নমনীয় কিন্তু শক্ত। আপনার ত্বকের যে কোনও অংশে কনসিলার লাগাতে চাইলে এই ব্রাশই সবচেয়ে কার্যকরী।
পাউডার ব্রাশ
এই ব্রাশটি দেখতে অনেকটা ফাউন্ডেশন ব্রাশের মতো একটু বড়ো হলেও এর বিসলের দিকটা আবার অনেক বেশি ফাঁপানো ও ফোলানো। ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বা কমপ্যাক্ট খুব নিখুঁতভাবে ব্লেন্ড করে নিতে পারবেন এই ব্রাশটি দিয়ে। এমনকী, ব্লাশিং করতেও কাজে লাগবে আপনার এই ব্রাশটি।
ব্লেন্ডিং ব্রাশ
আপনি কি হাইলাইটার বা আইশ্যাডো সুন্দর করে ব্লেন্ড করতে চান? তাহলে আজই আপনার স্টকে রাখুন ব্লেন্ডিং ব্রাশ। এই ব্রাশের মুখগুলো খুবই ছোট হয়, যার ফলে চোখের কোনার অংশগুলোতে খুব নিখুঁত ভাবে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন আপনি।
হাইলাইটার ব্রাশ
নাক, চিকবোন বা চিবুকের অংশগুলোতে বাড়তি উজ্জ্বলতা আনতে আজকাল অনেকেই নানা ধরনের হাইলাইটার ব্যবহার করছেন। হাইলাইটার তো লাগালেন এবার একটা স্বাভাবিক সুন্দর ফিনিশ আনতে হবে। আর এই জন্য হাইলাইটার ব্রাশ আপনার প্রয়োজন পরবেই। এই ব্রাশটি দেখতে ব্রিসলের আকার অনেকটা তিনকোনা পাখার মতো হয় বলে অনেকে একে ফ্যান ব্রাশ বলেও জেনে থাকেন। এই ব্রাশের ব্রিসল অনেকটা সূক্ষ্ম এবং খুব বেশি ঘন নয়। আর এ জন্যই হাইলাইটার খুব সহজেই সুন্দরভাবে ব্লেন্ড করা যায়।
Leave a Reply