রূপ-লাবণ্য বাড়ানোর পাশাপাশি তারুণ্য ধরে রাখতে কে না চায়। এমন কিছু কাজ আছে যা করলে আপনাকে শুধু সুন্দরই দেখাবে না, বয়সও অনেক কম লাগবে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে চেহারার পরিবর্তন কোনোমতেই আটকানো যায় না। তবে নিয়ম মেনে মেকআপ করলে কিন্তু ঠিকই তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব।
জেনে নিন তারুণ্য ধরে রাখার কিছু মেকআপ টিপস:
ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন
শুধু ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলেই না। এটি যাতে ত্বকে ভালোভাবে মিশে যায় সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরী। এতে ত্বক শুধু মসৃণই দেখাবে না; একইসাথে নিজেকে সুন্দরও লাগবে।
আরো পড়ুন ঃ বাড়িতে বসেই পার্লারের মতো নিখুতভাবে মেকআপ করার উপায়
কালো দাগ ঢেকে ফেলুন
মুখে কালো দাগ থাকলে সেক্ষেত্রে কনসেলার (এক ধরনের কসমেটিক) ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি সহজেই কালো দাগ ঢেকে ফেলে মুখে একটা ন্যাচারাল লুক নিয়ে আসে। এতে সুন্দর দেখার পাশাপাশি বয়সও অনেক কম মনে হয়।
পাউডার ব্যবহার করুন
ভালো ফল পেতে উন্নতমানের পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে আসে এবং ত্বক অনেক উজ্জ্বল দেখায়। চাইলে একটি ট্রান্সসুলেন্ট পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। বয়সের ছাপ দূর করতে কিন্তু ভালো কাজ করে এই পাউডার।
চোখ দিকেও নজর দিন
একজন মানুষের পূর্ণ অভিব্যক্তি প্রকাশ পায় তার চোখেই। কাজেই চোখ সাজানো এড়িয়ে গেলে চলবে না। চোখ সাজাতে মাশকারা, আইলাইনারের মতো অনেক জিনিসই ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁট সাজাতে ভুলবেন না
শুধু মুখ আর চোখ সাজালেই হবে না, নজর দিতে হবে কিন্তু ঠোঁটের দিকেও। তারুণ্য ধরে রাখতে গাঢ় রঙ্গের অথবা উজ্জ্বল কালারের লিপিস্টিক ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। কারণ এসব কালারে বয়স আরও বেশি মনে হয়। এক্ষেত্রে লিপগ্লোজ ব্যবহার করা বেশি ভালো।
ভারসাম্য জরুরী
শুধু সাজের বেলায় নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরী। কাজেই মেকআপ করলেই শুধু হবে না, তা যাতে সুন্দরভাবে মুখের সাথে মিশে থাকে তাও খেয়াল রাখা জরুরী। তাতে নিজেকে আরও বেশি তরুণ মনে হবে।
মেকআপের আরো কিছু প্রয়োজনীয় টিপস
বিয়ে বা অনুষ্ঠানে জমকালো আর ভারী সাজ তো লাগবেই। এর মাঝেও নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্য যেন না হারায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জমকালো সাজের মাঝেও নিজের স্বাভাবিক লাবণ্য বজায় রাখার কৌশল জেনে নিন।
বেইজ মেইকআপের ক্ষেত্রে ভারী ফাউন্ডেশন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। দিনের বেলা ম্যাট ফাউন্ডেশন দিয়ে বেইজ করা ভালো। ত্বক তৈলাক্ত হলে প্রথমে সারা মুখে লুজ পাউডার লাগিয়ে তারপর ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। এতে মেইকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। ত্বক যা-ই হোক, কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে বেইজ মেইকআপ শেষ করা ভালো।
রাতের সাজে তৈলাক্ত ত্বকে দিন ‘লিকুইড ফাউন্ডেশন’। আর শুষ্ক ত্বকে ‘ক্রিম ফাউন্ডেশন’। তারপর প্যানকেক। জমকালো আর ভারী সাজেই কেবল প্যানকেক মানানসই। সাধারণত হলুদ আর গোলাপি এই দু’টি রংয়ের প্যানকেক ব্যবহৃত হয়। প্রথমে হলুদ প্যানকেক দিয়ে তারপর ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে গোলাপি শেইডের প্যানকেক দিন।
সব ক্ষেত্রেই মেইকআপ ব্লেন্ডিং খুব জরুরি। ত্বকের সঙ্গে বেইজ যত ভালোভাবে মিশে যাবে ততই ‘ন্যাচারাল লুক’ আসবে। তারপর কমপ্যাক্ট পাউডার দিন। রাতের জমকালো অনুষ্ঠানে চাইলে ‘শিমার পাউডার’ ব্যবহার করতে পারেন। নাক একটু টিকালো দেখানোর জন্য নাকের দু’পাশে গাঢ় শেইডের কনসিলার দিয়ে উপরে লম্বা করে হালকা শেইডের কনসিলার দিন। একইভাবে চোয়ালের শেইপ ঠিক করে নিন। কনসিলার ছাড়াও ব্রোঞ্জিং পাউডার দিয়েও কনট্যুর ও হাইলাইট করা যায়। চাইলে চোখও হাইলাইট করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ঠোঁটের জন্য ‘ন্যাচারাল স্কিন কালার’ মানানসই।
মোদ্দা কথা হল হালকা বা ভারী- সাজ যা-ই হোক, চোখ আর ঠোঁটের সাজ হবে বিপরীত।
আরো পড়ুন ঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করুন মাত্র ৭ দিনে
চোখের সাজে লাইনার, মাসকারা আর শ্যাডো ব্যবহার করা হয়। দিনের সাজে তিনটি একসঙ্গে ব্যবহার না করে যে কোনো দু’টি বা একটিতে সীমাবদ্ধ রাখা যেতে পারে। কাজল ও আইলাইনারের চেয়ে মাসকারা প্রাধান্য দিন। চোখের পাতা ঘন দেখালে আরও আকর্ষণীয় লাগবে চোখ। সেজন্য কাজল বা আইলাইনার টেনে দিতে পারেন। তিনটি একসঙ্গে কেবল রাতের সাজেই চলতে পারে। ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ব্লাশন সব সময়ই হালকা হলে ভালো লাগে। এমনকি রাতের পার্টিতেও এখন গাঢ় ব্লাশনের চল নেই।
তথ্যসূত্র: ওয়েলনেসবিন এবং আমিনা হক
Leave a Reply