শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারটি কখনোই পুরুষের এক তরফা নয়। বরং নারী ও পুরুষের সমান সমান অংশগ্রহণে যৌনতা হয়ে ওঠে উপভোগ্য ও দারুণ। তবে অনেক নারীই কিন্তু অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ক্ষেত্রে হারিয়ে ফেলেন আত্মবিশ্বাস, ভুগতে শুরু করেন নানা রকম দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। নিজের শরীর ভালোবাসার পুরুষের সামনে উন্মুক্ত করার মুহূর্তগুলোতে প্রায় সকল নারীই মনে মনে ভেবে থাকেন অনেক কিছু। যেমন- আমাকে কি তার ভালো লাগবে? আমি কি যথেষ্ট আকর্ষণীয়? আমি কি তার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব?
যে কোন মানুষই যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে পছন্দ করেন একজন আত্মবিশ্বাসী সঙ্গীকে। আজ থাকছে এমন ৫টি টিপস যা বিছানায় বাড়াবে নারীর আত্মবিশ্বাস, সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক করে তুলবে আরও মধুর। অন্তরঙ্গ সময়ে এই কাজগুলো যৌনতাকে করে তুলবে দুজনের জন্যেই উপভোগ্য।
১. প্রস্তুতি রাখুন
যৌন সম্পর্ককে মধুর করে তুলতে একটু অগ্রিম প্রস্তুতি রাখতেই হয়। যেমন, প্রয়োজনীয় ওয়াক্সিং ও থ্রেডিং সেরে নিন। চুল শ্যাম্পু করুন, ভালো করে শাওয়ার নিন। ত্বকে ভালো ময়েশ্চারাইজার মাখুন, প্রচুর পানি পান করে দেহকে হাইউড্রেটেড রাখুন। দাঁত ব্রাশ, ফ্লসিং ও মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে ভুলবেন না। যৌনতা শরীরের ব্যাপার। তাই শরীর যদি তৈরি থাকে তবে আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে অনেক বেশি।
২. দারুণ অন্তর্বাস
চমৎকার পোশাক যেমন আত্মবিশ্বাসী করে তোলে যে কোন মানুষকে, একইভাবে চমৎকার অন্তর্বাসও একই কাজ করে। প্রিয় মানুষটির জন্য নিশ্চয়ই পছন্দের পোশাক পরেছেন আপনি? তাহলে পছন্দের অন্তর্বাস পরতেও ভুলবেন না। বড় বড় শপিং মলে দারুণ সব শপ আছে, যেখানে ট্রায়াল দিয়ে এইসব অন্তর্বাস কেনা যায়। যৌন জীবনকে মধুর করে তুলতে সংগ্রহে কিছু দারুণ অন্তর্বাস রাখুন।,
৩. আকর্ষণীয় লিপস্টিক
হালকা মেকআপ বা একটুখানি সাজসজ্জা যৌনতায় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। লাল পোশাক, বিশেষ করে লাল লিপস্টিক এক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। হয়তো আপনি লাল লিপস্টিক ব্যবহার করেন না দৈনন্দিন জীবনে, পছন্দও করেন না। অন্তরঙ্গ মুহুর্তে একবার ব্যবহার করে দেখুন, পরিবর্তন বুঝতে পারবেন নিজেই।
৪. মিষ্টি সুগন্ধী
সুগন্ধী বা পারফিউম যে কেবল যৌন আবেদন বাড়ায়, সেটাই নয়।পারফিউমের সঠিক ব্যবহার দেহের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্গন্ধকে ঢেকে দেয়। একই সাথে মিষ্টি পারফিউমের ঘ্রাণ আমাদের মন-মস্তিষ্ককে রিল্যাক্সড হতে সাহায্য করে। সব মিলিয়ে যৌনতার ক্ষেত্রে অন্য একটা মাত্রা যোগ করে সুগন্ধী।
৫. মনযোগ দিন পরিবেশে
যৌনতায় কেবল দুটি মানুষ জরুরী নয়, জরুরী পরিবেশ-পরিস্থিতিও। বাজে কিংবা বিব্রতকর পরিবেশে যৌনতা যেমন হতে পারে তিক্ত অভিজ্ঞতা, তেমনই সুন্দর পরিবেশে যৌনতা হয়ে উঠবে চরম আনন্দের। ঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখুন, অতিরিক্ত গরমে যৌনতা উপভোগ্য নয়। নরম আলো, মিষ্টি সঙ্গীত, এয়ার ফ্রেশনার ইত্যাদি পরিবেশকে মধুর করে তোলে। বিশেষ করে সঙ্গীত বিশেষ মুহূর্তগুলোকে দুজনের জন্যেই অন্যরকম করে তোলে।
ছুটির অবসরে জীবনে আসুক রোমান্স, হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী। দারুণ কাটুক জীবনের কিছু মুহুর্ত।
শারীরিক সম্পর্কের পূর্বে জরুরী ৮ কাজ
যৌন জীবন মনে মনে যেমনটা আশা করেন, ঠিক যেন তেমনটা নয়। কোথাও কী যেন একটা ঘাটতি রয়েই যাচ্ছে। ঠিক যেন মিলছে না সেই সন্তুষ্টি, ঠিক যেন তৈরি হচ্ছে না সেই মধুরতম মুহূর্তগুলো। সমস্যা যদি এই হয়ে থাকে, তাহলে সময় এসেছে ভিন্ন কোণ থেকে ভাবনার। যৌনতা এই শিল্প, একটি চর্চা করার বিষয়। শিল্পের আনন্দ যেমন একটু একটু করে উপভোগের মাধ্যমে, যৌনতাও ঠিক তাই। যৌনতার আনন্দ উপভোগ করতে হাতে থাকা চাই পর্যাপ্ত সময়, জানা চাই সঠিক কৌশল।
যৌন জীবনের আস্বাদ পুরোপুরি উপভোগ করতে চাইলে বিছানায় যাবার আগেই সেরে নিন কিছু ‘বিশেষ’ কাজ।
১. নিজেকে স্ট্রেস মুক্ত করুন
আপনি কখনোই যৌনতার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন না যখন মনের মাঝে জমে থাকবে দৈনন্দিন জীবনের শতেক চিন্তা। অফিস, সংসার, জীবন সব মিলিয়ে অস্থির মন কোন আনন্দই উপভোগ করতে পারে না। তাই কিছুক্ষণের জন্য এসব বাদ দিন। আগামীকালের কী কী করণীয় একটি লিস্ট তৈরি করে ফেলুন এবং লিস্ট সরিয়ে রেখে সব ভুলে যান। দেখবেন মন অনেক হালকা লাগছে, কাজের চাপ ভুলে সঙ্গীর দিকে মন দিতে পারছেন।
২. শরীরকে ভালবাসুন
সুন্দর যৌন সম্পর্কের আগে শরীরকে প্রস্তুত করে নেয়াটা জরুরী। দিনযাপনের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলুন, চমৎকার একটি শাওয়ার সেরে নিন। এমন কোন কাজ করুন যার ফলে আপনি আত্মবিশ্বাসী ও সুন্দর অনুভব করতে পারেন। যেমন পছন্দের রাত পোশাক, অন্তর্বাস, হালকা সাজ কিংবা পারফিউম। সঙ্গী ভালোবাসে এমন কিছু করলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে শতগুনে।
৩. রোমান্স তৈরি হোক আগে থেকেই
কেবল বিছানায় গেলাম আর মুড তৈরি হয়ে গেল, যৌনতার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। বরং শরীরের সাথে সাথে মনের খেলাটাও জরুরী। বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে যৌনতা শুরু হয় মন থেকেই। সারাদিন জুড়েই সঙ্গীকে ইঙ্গিত দিন। রোমান্টিক মেসেজ বা নরম স্পর্শ যথেষ্ট হবে এই কাজে। আগে থেকে মানসিক প্রস্তুতি থাকলে যৌনতা হয়ে ওঠে অনেক বেশি উপভোগ্য।
৪. জরুরী জিনিসগুলো হাতের কাছে থাক
জন্ম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, পছন্দের ভাইব্রেটর বা সেক্স টয়, লুব্রিকেন্ট ইত্যাদি হাতের কাছেই গুছিয়ে রাখুন।
৫. পরিবেশ একটি জরুরী ব্যাপার
যৌনতা একটি সুন্দর ব্যাপার। আর একে আরও মধুর করে তুলতে চাই সুন্দর পরিবেশ। স্বল্প আলো, সুন্দর মিউজিক, পছন্দের চকলেট বা পানীয়, সুগন্ধী ইত্যাদি সবকিছুই পরিবেশ তৈরি করতে দারুণ ভূমিকা রাখে।
৬. মনকে জাগিয়ে তুলুন
মনকে জাগিয়ে তুলতে না পারলে শরীর কখনোই জাগবে না। যৌনতা অভ্যাস নয়, বরং আনন্দ। আর এই আনন্দ ষোল আনা উপভোগ করতে নিজেই নিজের মনকে স্টিমুলেশন দিন। যেমন, সঙ্গীর সাথে উপভোগ্য মুহূর্তগুলোর কথা মনে করুন বা ছবি দেখুন। রোমান্টিক মুভি দেখাও এক্ষেত্রে সহায়ক। আপনার মনকে উজ্জীবিত করে এমন যে কোন কিছু বেছে নিন। দুজনে একসাথেও দেখতে পারেন।
৭. সেলফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া সরিয়ে রাখুন
অন্তরঙ্গ মুহূর্তে বারবার সেলফোন বেজে উঠলে বা ফেসবুকের নোটিফিকেশন এলে কেমন লাগবে আপনার? মোটেও ভালো নয়, বরং মুডতাই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই দুজনেই কিছুক্ষণ সেলফোনের সঙ্গ বাদ দিয়ে পরস্পরকে উপভোগ করুন। সঙ্গী জরুরী, সেলফোন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া নয়!
৮. আস্তে আস্তে শুরু করুন
স্বাভাবিক অবস্থায় নারীদেহের অন্তত ২০ মিনিট সময় লাগে যৌনক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হতে। তাই যৌনতার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া খুব ভুল একটি সিদ্ধান্ত। হাতে সময় নিয়ে রোমান্স করুন, ফোর প্লে চলুক অনেকটা সময়। দুটি শরীর কামনায় অধীর হলে তবেই আসুক যৌন ক্রিয়া।
সুস্থ যৌনতায় কোন জোর-জবরদস্তি নেই। বরং সঠিক ও সুস্থ যৌনতার চর্চা কমিয়ে আনতে পারে ধর্ষণের মতন কুৎসিত অপরাধকেও।
যৌন সম্পর্কের পর যে ৬ টি কাজ অবশ্যই করা উচিৎ
যৌন সম্পর্কের পূর্বে কী কী করণীয়, সেটা জালেন। কিন্তু এরপর কী করবেন? বেশীরভাগ মানুষই শারীরিক সম্পর্কের পর পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন, যা একদমই অনুচিত। বরং করতে হবে এমন কিছু কাজ যা শরীর ও মন উভয়ের জন্যেই জরুরী। ভালোবাসায় ভরা যৌনতার কিছু দারুণ মুহূর্ত কাটানোর পর চট করে সেরে ফেলুন এই কাজগুলো, আপনার শরীর ও মন উভয়েই ধনবাদ দেবে আপনাকে।
১. টয়লেটে যান
শারীরিক সম্পর্কের পর টয়লেট ব্যবহার না করে ঘুমিয়ে পড়ার চাইতে বাজে অভ্যাস আর হতে পারে না। এটি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর একটি অভ্যাস। অবশ্যই টয়লেটে যান এবং যৌনাঙ্গ ভালো ভাবে পরিষ্কার করুন। এতে বাড়তি লুব্রিকেন্ট, যে কোন রকমের ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিক পদার্থ শরীরে জমে থাকবে না। সময় নিজে নিজেকে পরিষ্কার করুন। কুসুম গরম পানি, মাইল্ড সাবান ও নরম কাপড় ব্যবহার করুন। এছাড়াও শরীরের ঘাম পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না।
২. নতুন পোশাক পরুন
যৌন সম্পর্কের সময় যে অন্তর্বাস ব্যবহার করেছেন বা যে পোশাক (যেমন- ট্রাউজার, লুঙ্গি, পেটিকোট) পরিধান করছিলেন, পরেও সেটি পরিধান করবেন না। নিজেকে পরিষ্কার করার পর এক প্রস্থ ফ্রেশ কাপড় পরুন। নিজের কাছে ভালো তো লাগবেই, অন্যদিকে বাসি কাপড় পরিধান মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। এতে নানান রকমের রোগ-বালাইয়ের সম্ভাবনা বাড়ে।
৩. সেক্স মানেই সব শেষ নয়
অরগাজম হয়ে গেল, এরপর পরস্পরের দিকে পিঠ ফিরে ঘুমিয়ে যেতে হবে? একদম নয়। বরং পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে রাখুন। নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়, স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারেন। একসাথে মুভি দেখতে পারেন বা গান শুনতে পারেন। অন্য কিছু না হলে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেই ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে সম্পর্ক মজবুত হয়। কারণ যৌনতার সময়ে শরীর অক্সিটসিন হরমোন নিঃসৃত করে যা আমাদের ভালোবাসায় অনুভূতির তীব্রতা বাড়ায়।
৪. পানি পান করুন
যৌন সম্পর্কের পর এক গ্লাস পানি পান করতে ভুলবেন না। এতে আপনার ক্লান্তি দূর হবে, শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হবে। সেক্সের পর অন্তত ৮ আউন্স পানি অবশ্যই পান করা উচিৎ।
৫. কিছু খেয়ে নিন
যৌন সম্পর্কের পর ক্ষুধা লাগা ব্যতিক্রম কিছু নয়, বরং খুবই স্বাভাবিক। সেক্স অনেকটা ব্যায়ামের মতই, এতেও ক্যালোরি ক্ষয় হচ্ছে। তাই হালকা কিছু খেয়ে নিলে দোষ নেই মোটেও। তিসি বা সূর্যমুখীর বীজ, এক মুঠো বাদাম ও গ্রিন টি, একটি অমলেট ও ফলের রস, ফল ও টক দই ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে।
৬. ভালবাসুন
সঙ্গীর প্রশংসা করুন, ভালো লাগার কথা প্রকাশ করুন। কেননা অক্সিটোসিন লেভেল উচ্চ থাকার কারণে আমাদের মন দ্রবীভুত অবস্থায় থাকে। দুজনের মাঝে কোন মতবিরোধ থাকলে মিটিয়ে ফেলার এটাই সময়। মন খুলে হাসুন, সম্পর্ক অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।
যৌনতা কোন এক তরফা বিষয় নয়। বরং দুজনের সমান সমান অংশ গ্রহণে যৌনতা হয়ে ওঠে সুন্দর ও উপভোগ্য।
যৌনতা শুধু শারীরিক সুখ নয়
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার জীবনে যৌনতা একটি অপরিহার্য ও অনস্বীকার্য বিষয়। সামাজিক নিয়ম-কানুনের শৃঙ্খল মানুষের যৌনজীবন নিয়ে মুক্তমনে আলোচনার সুযোগকে ব্যাহত এবং পরিসরকে কিঞ্চিৎ সঙ্কুচিত করলেও এই বিষয়টি প্রতিটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
মানবসভ্যতায় বা প্রাণিজগতে যৌনতা একটি প্রাকৃতিক বিষয়। দেহের এই মূল জৈবিক ক্রিয়া শুধুই এক ভোগক্রিয়া নয়, এর মধ্যে নিহিত রয়েছে সৃষ্টির বিজ্ঞানতত্ত্ব। জীবন, সমাজ, ধর্ম, শিল্প, রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস—এ সবকিছুতেই যৌনতা ছিল এবং রয়েছে। বিভিন্ন যুক্তি, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যৌনতা সম্পর্কিত ধারণা পরিবর্তিত এবং পরিবর্ধিত হয়েছে যুগ যুগ ধরে।
বিবাহ এমন একটি সম্পর্ক, যেখানে রক্তের সম্পর্কে সম্পৃক্ত নয়, এমন দুইটি মানুষ একটি মিলিত জীবনের সূত্রপাত ঘটায়। সামাজিক বৈধতায় এই সংযুক্ত জীবনের শ্রী, সমৃদ্ধি ও সার্থকতা প্রকাশ্যে দৃষ্টিগোচর হয়। তবে তার মূলে যে যৌন সম্পর্ক, তা থাকে লোকচক্ষুর অন্তরালে। বিবাহিত পুরুষ ও নারীর জীবনে যৌনতার শারীরিক ও মানসিক—উভয় দিকটিই যদি স্বাস্থ্যকর ও সন্তোষজনক হয়, তবে কর্মে, ত্যাগে, সৌন্দর্যে, আদর্শে ও পারস্পরিক সহযোগিতায় দাম্পত্য সার্থক হয়ে ওঠে।
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ দুটি মানুষের ভালোবাসার ভিত্তি যৌন সম্পর্ক। তাই এই সম্পর্ক শুধুই শারীরিক চাহিদা নিবৃত্তি বা দায়িত্ব পালন নয়, বরং, দুটি মানুষের মন বোঝা, ঘাত-প্রতিঘাত, সংবেদনশীলতা, স্পর্শকাতরতা—সবকিছুই এর সঙ্গে সংযুক্ত। পিতা-মাতার যৌনতার ফসল মানব সন্তান। যৌনতাই এমন মাধ্যম, যা মনুষ্যজীবন ও তার যাবতীয় সম্ভাবনাকে পরবর্তী প্রজন্মে প্রলম্বিত করে।
অনেক সময়ই দাম্পত্য যৌনজীবন আঘাত-জর্জরিত হয়। দুটি মানুষ বিবাহসূত্রে বাঁধা পড়ে একটি নতুন সম্পর্কের সূচনা করলে আগন্তুক বহু সমস্যা তাদের সম্পর্কের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যাগুলোকে কোনো ব্যক্তি বিশেষের সমস্যা হিসাবে বিচার না করে বৃহত্তর সামাজিক সমস্যার প্রতিফলন হিসেবে বিচার করলে কারণগুলোকে নির্দিষ্ট করা কঠিন হয় না।
দাম্পত্য ও যৌনতা সম্পর্কে সমাজের বহু প্রাচীন বোধগত ভিত্তি অনুন্নত, যুক্তিহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট। যৌনতার সংজ্ঞা কখনোই সংকীর্ণ নয়। বিবাহ সম্পর্কে জড়িত একজন পুরুষ ও একজন নারীর যাবতীয় উপলব্ধির এক ও অভিন্ন মিলনে একত্রিত যে অনুভূতি, তা-ই হলো যৌনতা এবং সুখী দাম্পত্য জীবনে এমন যৌনতাই কাম্য।
Leave a Reply