সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক যত্নের কোনো বিকল্প নেই। রূপচর্চায় প্রাকৃতিক পদ্ধতিই সবচেয়ে বেশি সমাদৃত। তবে কোন ত্বকে কেমন যত্ন প্রয়োজন তা আগে থেকেই জানা থাকতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মেয়েদের রূপচর্চায়ও পরিবর্তন এসেছে অনেক। তবে ত্বকের যত্নে তেলের মত প্রাকৃতিক উপানকেই রাখুন সবার উপরে। আপনার জানা না থাকলে আজ আপনিও জেনে নিন কোন তেল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে।

নারকেল তেল: ত্বক পরিচর্চার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া সবথেকে সহজলভ্য হচ্ছে নারকেল তেল। ফেটে যাওয়া ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করুন নারকেল তেল। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ও ত্বক ফাটার আশঙ্কা দূর করতে এ তেলের জুড়ি নেই। চুলকানির মতো চর্মরোগ সারাতেও নারকেল তেল খুবই কার্যকারি। ত্বকে ব্রণ উঠার অন্যতম একটি কারণ ময়লা জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া। বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপ পরিষ্কার করতে ও লোমকূপের চারপাশের ফুলে যাওয়াও কমাতে নারকেল তেল অনেক উপকারী।

জলপাই তেল: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে কুচকানো একটা ভাব আসা শুরু করে। জলপাই তেল ত্বকের যত্নে সবসময় ভালো কাজ দেয়। ত্বক কুচকানো প্রতিরোধে এই তেল খুবই উপকারী। শুষ্ক তালু, ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে জলপাই তেল ব্যবহার করুন। চুলকানির সমস্যাও দূর করে এই তেল। আর খুশকির সমস্যা ও চুল পড়া কমাতে জলপাই তেল সবসময় খুবই কার্যকারী। শিশুদের ত্বকেও নিরাপদ।

বাদাম তেল:বাদাম তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও শক্তি। বাদাম তেলের শক্তিশালী পুষ্টি উপাদান চুল এবং ত্বকের যত্নে খুব উপকারী। চুল এবং ত্বক ভালো রাখতে চমৎকার কাজ করে এই তেল। ত্বকের কালো দাগ দূর করতে নিয়মিত বাদামের তেল মাখুন। মুখে বয়সের ছাপ কমাতে ও ত্বক মসৃণ করতে মধু ও লেবুর সাথে কাঠবাদামের তেল মিশিয়ে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন এতে ত্বক হয়ে উঠবে দীপ্তিময়।
Leave a Reply