আপনার স্কিন কি খুব ড্রাই? ঠিক ধরেছি। তাহলে নিশ্চয়ই মেকআপ করতে গিয়ে আপনি সমস্যায় পড়েন! মেকআপ যত ভালো করেই করুন না কেন, কিছুক্ষণ পরই নিশ্চয়ই ফ্লেকি হয়ে সব মেকআপ উঠে যেতে থাকে বা আন-ইভেন হয়ে যায় স্কিন! চাপ নেই বন্ধুরা। আপনার ড্রাই স্কিনেও এবার কীভাবে পারফেক্ট অ্যান্ড বিন্দাস মেকআপ করবেন,তার স্টেপ বাই স্টেপ ডিটেলস টিপস নিয়ে হাজির আমরা। দেখে নিন।
১. মুখ ধুয়ে নিন
আপনার ত্বক যেরকমই হোক না কেন,মেকআপ করার আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে নেওয়া কিন্তু মাস্ট।কারণ মুখে ময়লা থাকলে মেকআপ কিন্তু মোটেই ভালো হয় না।আর হ্যাঁ,আপনার যেহেতু ড্রাই স্কিন,তাই ড্রাই স্কিনের জন্য স্পেশালি ফর্মুলেটেড কোনো ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন।দেখবেন আপনার মুখের মরা কোষ দূর হয়ে মেকআপ করার জন্য ফ্রেশ একটা ক্যানভাস পাচ্ছেন।
২. স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করুন
শুষ্ক ত্বকে ময়েশ্চারাইজ করা কিন্তু মাস্ট।নয়তো মেকআপের পর আপনার ত্বক খুবই শুষ্ক লাগে দেখতে।নাক,নাকের আশেপাশের অংশ বিশেষ করে বেশী ড্রাই হয়,তাই ওইসব জায়গায় বেশী করে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন।আর ড্রাই স্কিনের জন্য এক্সট্রা হাইড্রেটিং ফর্মুলেটেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৩. প্রাইমার দিন এবার
এরপর আপনার ড্রাই স্কিনকে দিন স্মুদ লুক প্রাইমারের সাহায্যে। এর ক্রিমি টেক্সচার আপনার ত্বকে সমস্ত দাগ দূর করে ত্বকে সুদিং এফেক্ট দেবে।আর প্রাইমার না দিলে আপনার ত্বকে মেকআপ কিন্তু উঠে যেতে বাধ্য।তাই প্রাইমার লাগান।আর হ্যাঁ,একগাদা প্রাইমার কিন্তু লাগাবেন না।ওতে আপনার মেকআপ কিন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪. চ্যাপ স্টিক ব্যবহার করা কিন্তু মাস্ট
ভাবুন তো,ড্রাই ঠোঁটে লিপস্টিক লাগালেন,পুরো মেকআপের বারোটা বেজে গেল!ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক লাগালে কিন্তু খুবই বাজে ব্যাপার হয়। ঠোঁট যদি খুব বেশী ফেটে যায়,হাজার লিপবাম লাগিয়েও কোনো কাজ না হয়,তাহলে চ্যাপ স্টিক আপনাকে ব্যবহার করতেই হবে।দেখবেন এটা আপনার ঠোঁটকে একটা পারফেক্ট স্মুদ ফিনিশ দেবে।এরপর আপনি নিশ্চিন্তে লিপস্টিক লাগাতেই পারেন।
৫. ফাউন্ডেশন আর কন্সিলার লাগান
আপনার যেহেতু ড্রাই স্কিন,তাই ফাউন্ডেশন আর কন্সিলার যাই ব্যবহার করবেন,সেগুলো যেন ড্রাই স্কিনের জন্য স্পেশালি তৈরি হয়।ড্রাই স্কিনের ফাউন্ডেশনের ক্রিমি টেক্সচার আপনার ত্বকের ড্রাইনেস দূর করতে ত্বককে স্মুদ এফেক্ট দেবে।আর ত্বকের যাবতীয় দাগ-ছোপ দূর করতে কন্সিলার তো মাস্ট।তবে সেটাও যেন ক্রিমি আর ড্রাই স্কিনের জন্যই হয়।
কন্সিলার কীভাবে ব্যবহার করবেন জানুন।
তবে হ্যাঁ,কন্সিলার আর ফাউন্ডেশন দুটোই কিন্তু খুব যত্ন নিয়ে ভালো করে লাগাবেন।নয়তো মেকআপ আন-ইভেন হয়ে খুব বিচ্ছিরি দেখতে লাগে।
৬. সেটিং স্প্রে লাগান
ড্রাই স্কিনে মেকআপকে ভালো করে সেট করার জন্য সেটিং স্প্রে লাগানো খুবই দরকার।এক হাত দূর থেকে স্প্রে করবেন।এটা আপনার মেকআপকে সেট করে পারফেক্ট করতে আর স্মুদ,ময়েশ্চারাইজিং এফেক্ট দিতে এটা কিন্তু মাস্ট।
৭. এবার বাকি মেকআপ করে ফেলুন
বেসিক মেকআপ করার পর এবার কিন্তু বাকি ফিনিশিং টাচের। আইলাইনার,আই শ্যাডো,কাজল,মাস্কারা দিয়ে চোখের মেকআপ করে ফেলুন।গালে কিন্তু লিকুইড ব্লাশ লাগাতে ভুলবেন না।আর ঠোঁটকেও রাঙিয়ে তুলুন আপনার পছন্দের লিপস্টিক শেডে।
আরো পড়ুন মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার সহজ কিছু উপায়
৮. ফিনিশিং টাচ
আর সব শেষে লাগিয়ে ফেলুন একটা হাইলাইটার।দেখবেন আপনার ত্বক যতই ড্রাই হোক না কেন,সুন্দর পারফেক্ট আর ফ্রেশ ময়েশ্চারাইজড লুক পেতে কিন্তু হাইলাইটার ছাড়া গতি নেই।
ব্যাস,রেডি আপনার শুষ্ক ত্বকের পারফেক্ট মেকআপ।এবার ড্রাইনেসকে বাই বলে সারাদিন নিশ্চিন্তে ঘুরুন।
সূত্র দাসবাস
Leave a Reply