প্রতিটি মানুষের জীবনে যৌন তৃপ্তি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। একজন মানুষ বিয়ে করবে, তার একটি সুন্দর সংসার থাকবে, ছেলেমেয়ে হবে এটিই তো স্বাভাবিক। কিন্তু একজন মানুষ যখন অস্বাভাবিক যৌনমিলনে লিপ্ত হয় তখন সেটি তার জন্যে আনন্দের বদলে বেদনা বা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটি পুরুষ ও নারী উভয়ের বেলায়ই ঘটতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে মাত্রাতিরিক্ত যৌনমিলনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আসুন এই পরিস্থিতির কয়েকটি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
১. যৌনাঙ্গ ভগ্ন হওয়া
কথাটি শুনলে হয়তো হাস্যকর মনে হতে পারে যে, পুরুষাঙ্গে তো কোনও হাড় নেই তাহলে পুরুষাঙ্গ আবার ভেঙে যায় কেমনে। আসলে বিষয় হচ্ছে পুরুষাঙ্গের উপর দিয়ে অতিরিক্ত চাপ গেলে পুরুষাঙ্গ বেঁকে যায়। এছাড়া পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত আসে ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করে।
২. যৌনাঙ্গে চুলকানি
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘন ঘন যৌনমিলন ও যৌনমিলনের সময় নারীদের যৌনাঙ্গ শুষ্ক থাকলে এ সমস্যা হয়। এ কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি সমস্যা দেখা দেয়। এতে নারীরা যৌনমিলনের সময় কোনও আনন্দ অনুভব করে না। তারা মানসিকভাবে অস্বস্তিতে থাকে।
৩. যৌনাঙ্গে রক্তপাত
যৌনাঙ্গে রক্তপাত সমস্যাটি দেখা দিতে পারে সদ্য বিবাহিত নারীদের। নারীরা প্রথম যখন যৌনমিলন করে তখন তাদের যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষদের একটু সচেতন থাকতে হয়। যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. প্রস্রাব নালীতে সমস্যা
অতিরিক্ত ও অসচেতন সেক্সের কারণে প্রস্রাবের নালী, কিডনি ও যৌনাঙ্গে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
যৌনমিলন মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবার এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে শুধু আনন্দ পাওয়ার উদ্দেশ্যেই যৌনমিলন করলে হবে না। বিভিন্ন সমস্যার কথা আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
যৌন উত্তেজক ওষুধ খেয়ে মৃত্যু
নতুন বান্ধবীকে খুশি করতে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করেছিলেন তিন সন্তানের জনক এক নাইজেরিয়ান। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পর ‘টানা লিঙ্গোত্থান এবং বীর্যপাত না হওয়ার চাপ’ সইতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন! স্যামসন নামে ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দেশটির ডেল্টা স্টেটের একটি হোটেল কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নাইজেরিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো মতে, স্যামসন ম্যানপাওয়ার নামের একটি ওষুধ সেবন করেছিলেন। ওষুধটি ভায়াগ্রার মতোই প্রভাব ফেলে।
পাঞ্চ নামের একটি নিউজ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বান্ধবীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গম করার পর তিনি বীর্যপাত ঘটাতে ও লিঙ্গোত্থান থামাতে পারছিলেন না। আর এই টানা লিঙ্গোত্থানের চাপ সামলাতে না পেরেই তার মৃত্যু হয়।
‘তিনি ওষুধটির ক্ষমতায় পরাভুত হয়েছিলেন। আর এই প্রথম তিনি এ ধরনের ওষুধ সেবন করেন। ‘
এর আগে তিনি মাস ধরে তিনি ওই বান্ধবীকে বিছানায় নেওয়ার জন্য পটানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। ঘটনার দিন ওই বান্ধবীকে হোটেল কক্ষে নিয়ে যাওয়ার আগে তারা দুজন একটি বিয়ার পার্লারে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় স্যামসন যৌন উত্তেজক ওষুধ খেয়ে বান্ধবীকে সন্তুষ্ট করার পরিকল্পনা বিষয়ে গর্ব করছিলেন।
ওই বান্ধবীর সঙ্গে হোটেল কক্ষে যাওয়ার আগে স্যামসন প্রচুর মদও পান করেছিলেন। যদিও তিনি মদপানে অভ্যস্ত ছিলেন না। স্যামসনের মৃত্যুর পর তার বান্ধবী হোটেল কক্ষ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করার পর উগবোরিকোরো নামের একটি থানার মর্গে নিয়ে রেখেছে। স্যামসনকে যথাযথভাবে দাফন করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে তার পরিবার। এ বিষয়ে স্যামসনের পরিবারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরই পুলিশ তার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
বিরতিহীন যৌনমিলন ডেকে আনতে পারে মৃত্যু
যৌবন হলো পরিশ্রমের সময়। জীবনকে উপভোগের সময়। এসময় শরীর যে কোনো কিছুই মানিয়ে নিতে পারে। তাই নিয়মিত যৌনমিলনে কোনো সমস্যা হয়না। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌনতায় লাগাম টানতে হয়। মেয়েদের ক্ষেত্র যৌন ইচ্ছা বয়সের সাথে সাথে কমে গেলেও পুরুষদের কমে না। তাই বিপদ পুরুষদেরই বেশি।
আধুনিক গবেষণা বলছে, পঞ্চাশোর্ধ বয়সে কেউ যদি প্রতিদিন সঙ্গমে লিপ্ত হয়, তাহলে তার হৃদরোগের সম্ভাবনা বেশি। যৌবন পার করা পুরুষ যদি দৈনিক কিংবা সাপ্তাহিক সঙ্গমে অভ্যস্ত হন, তাহলে সেই পুরুষের হৃদরোগের শঙ্কা বেশি। এমনটাই মত দিয়েছে মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গবেষকরা।
তবে পূর্ব উল্লিখিত কারণেই পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাদের ক্ষেত্রে যদিও নিয়মিত সঙ্গমে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম। গবেষক হুই লিউ তার গবেষণা প্রতিবেদন বলেছেন, “তুলনামূলক বয়স্করা যদি তাদের সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতায় শারীরিক তৃপ্তি অনুভব করেন এবং সন্তুষ্ট হন, সেক্ষেত্রে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা তাদের সবথেকে বেশি।” ৫৭ থেকে ৮৫ বছরের ২ হাজার ২০৪ জনের ওপর এই গবেষণা করা হয়েছিল।
আমেরিকার ন্যাশনাল সোশ্যাল লাইফ এবং হেলথ অ্যান্ড অ্যাজিং প্রোজেক্ট এই গবেষণাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে। দীর্ঘ সময়ের এই গবেষণায় দেখা গেছে যাদের মধ্যে যৌনতার মাত্রা বেশি ছিল তাদেরই পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন পঞ্চাশোর্ধ পুরুষরা প্রতিনিয়ত কিংবা সাপ্তাহিক যৌনতায় আবদ্ধ হলে তাদের শরীরের স্বাভাবিক রক্তচাপ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায় যা তাদের হৃদপিণ্ডে প্রভাব ফেলে।
আর অতিরিক্ত চাপে হার্ট অ্যাটাকের মত মৃত্যু সঙ্কটের সম্মুখীন হন তারা। গবেষণা বলছে প্রতিনিয়ত যৌনসঙ্গম না করে যদি মাসিক রুটিন ফলো করে যৌনসঙ্গম করা হয় তাহলে তুলনামূলকভাবে শারীর অনেক বেশি সুস্থ থাকে।
সেক্সের স্বপ্ন বাস্তব জীবনের সংকেত
যৌন মিলনের স্বপ্ন দেখেছেন কখনও? উত্তরে যাঁরা ‘হ্যাঁ’ বলবেন তাঁদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সেক্সের স্বপ্নে কখনও ধরা দেন চেনা মানুষ তো কখনও মুখটা হয় অত্যন্ত অচেনা। কখনও সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, তো কখনও আবার খুব কাছের বন্ধুকেই মিলনের সঙ্গী হিসেবে দেখেন অনেকে। কিন্তু চোখ খুলতেই ব্যস্ত জীবনে সেসব নিয়ে আর ভাবেন না। স্বপ্নকে স্বপ্নলোকেই ঠেলে দিয়ে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে পড়েন। কিন্তু স্বপ্নগুলি শুধুই কি স্বপ্ন? ভেবে দেখেছেন, এমন স্বপ্ন কেন দেখছেন? কী ইঙ্গিত দেয় এগুলি? আসলে ভিন্ন সঙ্গমের স্বপ্নের সংকেতও আলাদা আলাদা। যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আপনার ব্যক্তিত্ব, ভাবনা, আকাঙ্ক্ষার দিকগুলি। এমনই কিছু মিলনের স্বপ্নের ব্যাখ্যা রইল এই প্রতিবেদনে।
অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে সেক্স
এমনটা হতেই পারে যে আপনি স্বপ্নে এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে মিলনে লিপ্ত হয়েছেন যিনি আপনার কাছে অচেনা। আপনার বাস্তব জীবনে তাঁকে কখনও দেখেননি। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে সেই ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তিনি যদি দুর্বল ব্যক্তি হন তার মানে আপনার ব্যক্তিত্ব দুর্বল। আর সুঠাম পুরুষ হওয়ার ইঙ্গিত সঠিক ব্যালেন্স রেখেই বৃদ্ধি পাচ্ছে আপনার ব্যক্তিত্ব।
ধর্ষণ
সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের স্বপ্নের কথা বেশি শোনা যায়। এখানে তাঁদের কথা বলা হচ্ছে যাঁদের বাস্তব জীবনে ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়নি। ঘুমের মধ্যেই ঘাম হয়, অনেকের ঘুম ভেঙেও যায়। এমন স্বপ্নের অর্থ শারীরিক অথবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন আপনি। তা সে যে কোনও কারণে হতে পারে। অফিসের চাপ, বাড়ির চাপ, অপ্রত্যাশিত সন্তান জন্মের চাপের মতো ঘটনার কারণে এ ধরনের স্বপ্ন দেখে থাকেন অনেকে। হতাশা, দুর্বলতা, ভয়, অপমানের মতো বিষয়গুলির জন্যই ধর্ষণের স্বপ্ন আসে।
প্রাক্তনের সঙ্গে সেক্স
যৌন মিলনের স্বপ্নের এটি অত্যন্ত পরিচিত একটি রূপ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এ স্বপ্ন দেখে থাকেন। আর অধিকাংশই এর অর্থ খুঁজে বের করেন, প্রাক্তনের সঙ্গে হয়তো সম্পর্ক গড়ার বাসনা নতুন করে জন্মেছে। এমনটা ভাবলে ভুল ভাবছেন। আসলে এ স্বপ্নে প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার কোনও ভূমিকা নেই। রয়েছে আপনার ইচ্ছার। হয়তো নতুন পার্টনারের সঙ্গেও আপনি সেভাবেই সঙ্গমে লিপ্ত হতে চান, যেভাবে স্বপ্নে ধরা দিয়েছেন। আপনার আকাঙ্ক্ষাই এই অবচেতন মনের মূল বক্তব্য।
সমলিঙ্গের সঙ্গে সেক্স
খোলা চোখের বাস্তবে আপনি স্ট্রেট। সমলিঙ্গের প্রতি একেবারেই যৌন আসক্তি নেই। তা সত্ত্বেও কাছের বন্ধু (পুরুষের ক্ষেত্রে) বা বান্ধবীর (মহিলাদের ক্ষেত্রে) সঙ্গে মিলনের স্বপ্ন আপনাকে বিভ্রান্ত করেছে। নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ভয় পাওয়ার বা চিন্তার কারণ নেই। ভেবে দেখুন যাঁকে নিয়ে এই স্বপ্নটি দেখলেন সম্প্রতি তাঁর কোনও কাজ বা স্বভাব আপনার মন ছুঁয়েছে কিনা। আপনিও হয়তো সেই কাজ করতে ইচ্ছুক অথবা একই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সন্ধানী। এই কারণেই এমন স্বপ্ন আসে অবচেতন মনে।
অপছন্দের ব্যক্তির সঙ্গে সেক্স
বাস্তবে তাঁকে হয়তো দুচোখে দেখতে পারেন না। সাপে নেউলে সম্পর্ক। অথচ স্বপ্নে এমন অদ্ভুতভাবে ধরা দিল সে। এর অর্থ হতে পারে, ওই মানুষটির সঙ্গে আপনি বিবাদ মিটিয়ে নিতে চান। অথবা তাঁর কোনও একটি বিষয়কে আপনি হিংসা করেন। তা চাকরিও হতে পারে বা সৌন্দর্যও।
সেলিব্রিটির সঙ্গে সেক্স
স্বপ্নে সলমন খান বা হৃতিক রোশন এসে চরম রতিসুখ দিয়েছেন কখনও। অথবা ক্যাটরিনা কাইফকে কখনও খুব কাছ থেকে অনুভব করেছেন স্বপ্নে। এর দু’টি সংকেত হতে পারে। এক, আপনি সত্যিই এই সেলেবদের সঙ্গে মিলনে লিপ্ত হতে চান। দুই, এঁদের নাম-যশ-খ্যাতি আপনাকে তীব্রভাবে আকর্ষণ করে।
Leave a Reply